তামিম-মুশফিকের কাঁধে বাংলাদেশ

তামিম-মুশফিকের কাঁধে বাংলাদেশ

ঢাকা: সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য বিশাল রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাগতিকদের যেতে হবে অনেকটা পথ। দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৬৪। এখনো পিছিয়ে আছে ৩৪৪ রানে।

ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৩৫৫, দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৮৩/৫ডি.
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩১, দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৪/৩ (ওভার ৪৭)

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ফিদেল এডওয়ার্ডসের বলে ক্যাচ আউট হন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও রানের দেখা পেলেন না এই বাঁহাতি। প্রথম ইনিংসে ২৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৯ রান। আগের ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও তাকে সাজঘরে ফেরান এডওয়ার্ডস।

ভালো খেলছিলেন শাহরিয়ার নাফিস! কিন্ত তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ড্যারেন স্যামি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে দলকে যখন বিপর্যয় কাটাতে সাহায্য করছিলেন। ঠিক তখনই স্যামির হাতে ফিরতি ক্যাচ দিলেন এই বাঁহাতি। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতে পারেননি সতীর্থ রকিবুল হাসানও। চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও হাসেনি তার ব্যাট। অবশ্য প্রথম ইনিংসে শূন্য করলেও মারলন স্যামুয়েলেসের বলে স্যামির তালুবন্দী হওয়ার আগে এ ইনিংসে ১৭ রান করেছেন ২৪ বছর বয়সী রকিবুল।

ইমরুলের সঙ্গে ২৬, শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে ৪৭, রকিবুল হাসানের সঙ্গে ৫১ ও সর্বশেষ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ উইকেটে তামিম ও মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কল্যাণে দিন শেষে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তামিম ব্যাট করছেন ৮২ রান নিয়ে। অপরপ্রান্তে মুশফিক অপরাজিত আছেন ৩৩ রানে।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ৩৮৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা দেয় ড্যারেন স্যামির দল। সঙ্গে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ছুঁড়ে দেয় ৫০৮ রানের বিশাল স্কোর। আগের দিন কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন নাইটওয়াচম্যান কেমার রোচের সঙ্গে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ড্যারেন ব্রাভো। টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকানোর পর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দ্বিশতকের দিকে। দুভার্গ্য, সোহরাওয়ার্দীর বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

৫ রানের জন্য দ্বিশতক বঞ্চিত হন ব্রাভো। তার ১৯৫ রানের চোখধাঁধানো ইনিংসে ১২টি চার ও ৫টি ছক্কার মার ছিলো। মূলত, ব্রাভোর দ্বিশতকের জন্যই ইনিংস ঘোষণা দিতে সময় নিচ্ছিলেন অধিনায়ক স্যামি। তাই ব্রাভো সাজঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ইনিংস ঘোষণা করেন ক্যারিবিয় নেতা।

প্রথম ইনংসে সুবিধা করতে পারেননি শিবনারায়ন চন্দরপল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার। এছাড়া ৮৬ রান করেন প্রথম ইনিংসে শতক (১২১) হাঁকানো কির্ক এডওয়ার্ডস। মূলত, তার শতকের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৩৫৫ রান করতে সমর্থ হয় ক্যারিবিয়রা।

সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের কাছে অসহায় ছিলো বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনাররা সাফল্য পেলেও পেসাররা একেবারেই ব্যর্থ বলা যায়! দুই ইনিংস মিলে ক্যারিবিয়দের ১৫টি উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। এর মধ্যে রানআউট হয়েছেন একজন ব্যাটসম্যান। বাকি ১৩টি উইকেট ভাগভাগি করে নিয়েছেন সাকিব, সোহরাওয়ার্দী, নাসির এবং পেসারের মধ্যে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন।

সে তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা সাফল্য পেয়েছেন ঢের। প্রথম ইনিংসে ফিদেল এডওয়ার্ডস একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া সতীর্থ লেগস্পিনার দেবেন্দ্র বিশু পেয়েছেন তিনটি।

খেলাধূলা