বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ধরে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ধরে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

priyodeshpicপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ধরে রাখার জন্য আজ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একসময় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ ও উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠত করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমনের মাধ্যমে।’
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সমিতির সিনিয়র আইনজীবীরা আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আইনজীবী সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদের নেতৃত্বে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সর্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আর বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন করা। ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুৎ এবং গ্যাস খাতের পাশাপাশি তাঁর সরকার মাথাপিছু আয় ও বৈদেশিক রিজার্ভ বৃদ্ধি করেছে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে চট্টগ্রাম নগরী সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। ‘চট্টগ্রামে একসময়ে বাণিজ্যিক রাজধানী নামেই ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই নগরী অবহেলিত ছিল। কিন্তু আমরা বন্দরনগরীকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানীতে পরিণত করেছি।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল রেললাইন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে চারলেনের কাজ এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছয় লেনের বিধান রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চারলেনের কাজ চলছে, যাতে করে ভবিষ্যতে এ মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ের রুট তৈরি করা যায়।
মহেষখালীতে এলএমজি টার্মিনালের কাজ চলছে এবং এ অঞ্চলে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে একটি টার্নেল নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে একটি রিংরোড তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, টার্নেল নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
বিগত বিএনপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,
তাদের সরকার মাত্র একটাকা মূল্যে সিএসডি গুদামের জায়গা একটি বেসরকারি কোম্পানিকে লিজ দিয়েছিল। ৪০টি গোডাউন ভেঙ্গে এ জমি লিজ দেয়াকে আত্মঘাতী কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের দিকে তাকায় না। তারা সবসময় নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান এবং তাদেরকে এ বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে এক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। তিনি ধৈর্যসহকারে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর