হেরে গেলেন রাফায়েল নাদাল। মায়ামি মাস্টার্সের ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের কাছে হারের পর স্প্যানিশ তারকা আত্মসমর্পণ করলেন প্রেমের খেলায়ও। রাফার টেনিসজীবনের ব্যস্ততায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে সম্পর্কোচ্ছেদ ঘটিয়েছেন তাঁর বান্ধবী মারিয়া ফ্রান্সিসকা পেরেলো। তাহলে যে টেনিস নাদালকে ‘নাদাল’ বানিয়েছে, সেই টেনিসই তাঁর মন ভেঙে দিল! বান্ধবীর এই সিদ্ধান্তে নাদাল কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কি না, সেটা জানা না গেলেও ব্যাপারটি যে এই টেনিস তারকার জন্য বড় ধরনের একটা আঘাত, সেটা বলে দেওয়াই যায়। সম্পর্কটা যে সাত বছরের!
এত বড় তারকার বান্ধবী হিসেবে মারিয়া কিন্তু একটু নিভৃতচারীই ছিলেন। বিভিন্ন সফর ও টেনিস প্রতিযোগিতায় কোর্টের আশপাশে বা গ্যালারিতে যেমন অন্যান্য টেনিস তারকার বান্ধবীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, মারিয়া ঠিক তেমন ছিলেন না। গত সাত বছরে হাতে গোনা কয়েকবারই টেনিসের অঙ্গনে নাদালের সঙ্গে তাঁকে সময় কাটাতে দেখা গেছে। মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু দিন আগেই পড়াশোনা শেষ করা মারিয়ার এমন স্বভাব নাদাল জানতেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বান্ধবী প্রসঙ্গে তা বলেছেনও, ‘মারিয়া স্বাভাবিক, নিভৃত জীবনেই অভ্যস্ত। তাই ওকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করি না। আমার সঙ্গে সে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াবে, এটা ওর জন্যও খুব সুখকর অভিজ্ঞতা নয়।’
তবে কেবল টেনিসজীবনের ব্যস্ততাই এর কারণ নয়। টেনিসের বাইরে একটা সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনও থাকে। কোর্টে নাদাল যতটা সপ্রতিভ, জীবনে নাকি ততটা নন। মারিয়ার প্রতি তাঁর উদাসীন আচরণই নাকি এই সুন্দরীকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। ব্যাপারটা জানিয়েছেন মারিয়ার অপর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ‘নাদালের উদাসীনতা মারিয়াকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সে আর পারছিল না। অথচ সে কিন্তু খুবই মুক্ত মনের মেয়ে। সে জানত, একজন টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে নাদাল কতটুকু ব্যস্ত থাকতে পারে তার খেলা নিয়ে।’
ব্যক্তিজীবন ওলট-পালট হয়ে যাওয়ার পর নাদাল এই মুহূর্তে কী করছেন জানেন? তিনি এখন প্রত্যয়ী ক্লে কোর্টে ঝড় তুলতে, ‘সামনে টানা ক্লে কোর্টে কয়েকটা টুর্নামেন্ট আছে। ওগুলোতে আমাকে ভালো করতেই হবে। আপাতত পেশির জোর বাড়ানোর কাজ করছি। আশা করি সফল হব।’
মনের জোরের চেয়ে নাদাল বেশি চিন্তিত পেশির জোর নিয়ে!