অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার অনিয়মের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আজ সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মামলাসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের পরিদর্শনে হলমার্ক ও বিছমিল্লাহ গ্র“পসহ অন্যান্য বেশ কয়টি সংস্থায় ঋণ জালিয়াতি উদযাটিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হলমার্ক গ্র“পের জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংক লিঃ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের ৩১জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দুদক থেকে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৭ জনের মধ্যে ২০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং বাকি ৭ জন হলমার্ক গ্র“পের পরিচালক-কর্মকর্তা। অভিযুক্তদের মধ্যে হলমার্ক গ্র“পের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী ব্যাংক লিঃ, শেরাটন শাখার ব্যবস্থাকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিছমিল্লাহ গ্র“পের জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রাইম ব্যাংক লিঃ, যমুনা ব্যাংক লিঃ, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ ও জনতা ব্যাংক লিঃ-এর মধ্যে যমুনা ব্যাংক লিঃ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাংকের চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদক বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১ জন কর্মকর্তাসহ (প্রাইম ব্যাংক ও যমুনা ব্রাংক লিঃ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জনতা ব্যাংক লিঃ-এর একজন মহাব্যবস্থাপক) ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের যে সব জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে সে সব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম ইতোমধ্যে পরিচালিত হয়েছে।