সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বান্দরবনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত একটি সূত্র বলেন, স্বাস্থ্য দিবসের বক্তব্য ছাড়াও পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু প্রথমবারের মতো এ ধরনের জাতীয় আয়োজন হয়েছে বান্দরবনে, তাই শান্তি চুক্তি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
‘মশা-মাছি দূরে রাখি, রোগ-বালাই মুক্ত থাকি’- এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম. এম. নিয়াজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. থুসারা ফার্নান্দো, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম. ইকবাল আর্সনাল, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ বোমাংগ্রী ইঞ্জিনিয়ার উ চ প্রু, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ২০১০ সালে পৃথিবীতে বাহবাহিত রোগে ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে বেশীরভাগেই শিশু। বিশ্বে বিভিন্ন সংক্রমণ রোগের মধ্যে ১৭ ভাগই হচ্ছে বাহকবাহিত।
তিনি বলেন, উষ্নমন্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও নানান ধরনের বাহকবাহিত রোগ বিরাজ করছে। কখনো কখনো এই রোগসমূহ বিপুল সংখ্যক লোকের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ম্যালেরিয়ায় ৮৪ হাজার জন আক্রান্ত হয় এবং ১৫৪ জন মারা যায়। তবে ২০১৩ সালে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৮৫১ জন এবং ১৫ জনে। জনগণের কাছে রোগশনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদান এবং কীটনাশকযুক্ত মশারী বিতরণ ও ব্যবহারের ফলে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভিন্ন সংস্থার সাথে যৌথভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করছে। ফলে, ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে এসেছে।
তিনি বলেন, বাহকবাহিত রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহন করার ফলে বাংলাদেশ লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।