‘উদ্বৃত্ত গণকর্মচারী আত্তীকরণ আইন, ২০১৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ও রোমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর গভর্নিং কাউন্সিলের ৩৭তম সভা সম্পর্কেও মন্ত্রীসভাকে অবহিত করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের সামরিক সরকার ‘উদ্বৃত্ত গণকর্মচারী আত্তীকরণ’ অধ্যাদেশ জারী করেছিল। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল হয়ে গেলে এই অধ্যাদেশও বাতিল হয়ে যায়। তবে এসব আইনের আওতায় পরিচালিত কাজগুলো সচল রাখতে বিগত মহাজোট সরকার আইন প্রণয়ন করে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, ‘উদ্বৃত্ত গণকর্মচারী আত্তীকরণ আইন, ২০১৪’ প্রণয়নের মাধ্যমে ওই অধ্যাদেশটি পূর্ণবহাল হবে। ১৯৭৮ সালের ওই অধ্যাদেশটিতে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। শুধু বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।
মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, গত ৪ মার্চ মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের তৃতীয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রীসভাকে অবহিত করা হয়।
তিনি বলেন, বিমসটেক সামিটে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শুল্কমুক্ত সম্পর্ক বাড়ানো, দারিদ্র দূরীকরণসহ নানা বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা মন্ত্রীসভাকে অবহিত করা হয়।
তিনি বলেন, গত ১৯-২০ ফেব্র“য়ারি রোমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কৃষি তহবিল (ইফাদ) এর গভর্নিং কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রীসভাকে অবহিত করা হয়।
তিনি বলেন, ৩৭ তম এ সভার যে থিম ছিল, তা আমাদের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সঙ্গে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ।