চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম এ মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবাল দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মুজিবর রহমানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মামলার সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ৯ জন এবং মূল চার্জশিটের ২ জনসহ মোট ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে যারা আদালতে হাজির হয়েছেন তারা হলেন- জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন, উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএলের সাবেক এমডি মোহসীন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও ট্রলার মালিক দীন মোহাম্মদ।
এছাড়া সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত দু’আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)-এর সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নূরুল আমিন বর্তমানে পলাতক আছেন।
এ মামলায় ইতোমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক শিল্পসচিব ড. শোয়েব আহমেদ এবং সিএমপির বন্দর জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাদেক হাসান রুমি, এনএসআইয়ের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুর রহমান চৌধুরী ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী এবং সিএমপি’র তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকীর এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে তিন বছর অধিকতর তদন্তের পর ২০১১ সালের ২৬ জুন সিআইডি আদালতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। এরপর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিচার।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়ে।