‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে’

‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে স্কাউটদের এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা, মেধা, মনন ও সততার সংমিশ্রণে নিজেদের তৈরি করতে হবে। নিজেদের আধুনিক বিশ্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আজ শনিবার গাজীপুরের মৌচাকে বাংলাদেশ স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নবম বাংলাদেশ ও প্রথম সার্ক ন্যাশনাল স্কাউট অর্গানাইজেশন স্কাউট জাম্বুরি-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে বাংলাদেশ স্কাউটস সব সময় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তাই সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দক্ষ তথ্য প্রযুক্তিবিদ তৈরির লক্ষ্যে আমাদের সরকার স্কুলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চাই। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই শিক্ষা, মেধা, মনন ও সততার সংমিশ্রনে নিজেদের তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে স্কাউট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। সকল জেলায় স্কাউট ভবন নির্মাণ করে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে বাংলাদেশ স্কাউটস সব সময় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেছে। তাই সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ স্কাউটের সংখ্যা এখন ১৩ লাখ, যা জনসংখ্যার তুলনায় বেশি নয়।

স্কাউটসের গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দু’টো করে স্কাউট দল খোলার পরামর্শ দিচ্ছি।

‘শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য স্কাউটিং’ এই থিমকে সামনে রেখে আয়োজিত উদ্বোধনী

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাম্বুরীর সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি মো. হেদায়েতুল্ল্যাহ আল মামুন এনডিসি। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আক্তারউজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় গাজীপুরের মৌচাকে এসে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাগত জানান। পরে তাকে জাম্বুরী স্কার্ফ, ব্যাজ, স্যুভেনী ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। স্কার্ফ ও স্যুভেনী প্রদান করেন জাতীয় কমিশনার আবুল কালাম আজাদ। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি স্কাউটস সমাবেশ পরিদর্শন করেন।

সাতদিনব্যাপী এই জাম্বুরী প্রোগ্রাম সমাপ্ত হবে ১১ এপ্রিল। জাম্বুরীতে সাকভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের ২৭ জন স্কাউট ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় নয় হাজার স্কাউট প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। জাম্বুরিতে স্কাউটিং এর নানা বিষয়ের উপর অংশগ্রহণকারীদেরকে হাতে কলমে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অন্যান্য