জেলায় গৌরীপুর জনতা ব্যাংক লিমিটেড এসি শাখা থেকে গত মঙ্গলবার ভুয়া পরিচয়ে একাউন্ট খুলে অবৈধভাবে ৭টি চেকের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে ব্যাংকের ওই শাখার গৌরীপুরের গ্রাহকরা শংকিত হওয়ায় টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে।
ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ২ মার্চ উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের হিম্মতনগর গ্রামের আবুল কালাম পরিচয়ে একটি হিসাব খুলে মাত্র ২ হাজার টাকা জমা রাখেন। ৩ মার্চ একই ঠিকানা উল্লেখ করে মো. কামাল পরিচয়ে সঞ্চয়ী হিসাবে খুলে এক হাজার টাকা জমা দেয়া হয়। এর পর গত মঙ্গলবার এই ২ একাউন্টের অধীনে দেয়া হয় ৮টি চেক। একটি চেকে ১ হাজার টাকা এবং অপর ৭টি চেক দিয়ে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রতারক চক্র। চেকে ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার মো. আব্দুল কুদ্দুসের স্বাক্ষর থাকলেও তিনি বলেন, এই চেকগুলোতে ভুয়া স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে ক্যাশ ইনচার্জ মো. লুত্ফর রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী চেক প্রদানকারী অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল থাকায় ওই চেকগুলোর টাকা প্রদান করা হয়।
শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন ছিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করা হয়েছে। ঘটনাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন জিএম মো. নাজিম উদ্দিন, ডিজিএম মো. হাফিজুর রহমান। তবে ওই রাতেই অফিসার ক্যাশের ওপর দায় চাপিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে মূলহোতাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ থেকে আসা উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বিষয়টি তদন্ত করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ব্যবস্থাপক জানান।
সৌজন্যেঃ দৈনিক ইত্তেফাক