মাটির সমান্তরালে দুই হাত ছড়ানো অবস্থায় নয় সম্ভবত অন্য ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল যিশু খ্রিস্টকে। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন লিভারপুলের জন মুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাত্তেও বোরিনি। বিখ্যাত পবিত্র কাপড়ের টুকরো ‘স্রাউড অব তুরিন’ যাচাই করে এমন ভাবনার রসদ পেয়েছেন বলে জানান তিনি৷
‘স্রাউড অব তুরিন’ প্রায় ১৪ দশমিক ৩ ফুট দীর্ঘ ও ৩ দশমিক ৭ ফুট চওড়া একটি কাপড়ের টুকরো। এক সময় বিশ্বাস করা হতো ক্রুশবিদ্ধ করার পর এই কাপড় দিয়েই মুড়ে দেয়া হয়েছিল যিশুর দেহ। কিন্তু পরবর্তীকালে কার্বন ডেটিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ‘স্রাউড অব তুরিন’ নামে কাপড়টির ওপর আঁকা আছে আবছা একটি ছবি। তাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তির দুই হাত মাথার ওপর তুলে রাখা হয়েছে। তার হাত দুটি দিয়ে নেমেছে রক্তের স্রোত। বোরিনির দাবি,এই ছবির শিল্পীই তাকে যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া ভঙ্গি সম্পর্কে নতুন দিশা দিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক গবেষকের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।
এ বিষয়ে যাচাই করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিষদ আলোচনার পর তারা মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে,দুই হাত মাথার ওপরে রেখে ক্রুশবিদ্ধ করা হলে এমন ভাবেই দুহাত গড়িয়ে রক্তের ধারা নামা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ইংরেজি টি অক্ষরের বদলে ক্রুশবিদ্ধ ব্যক্তিকে ইংরেজি ওয়াই অক্ষরের মতো দেখতে লাগবে।
বোরিনি জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে যদি যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়ে থাকে তা হলে তিনি অসহ্য কষ্ট পেয়েছিলেন। এমন ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করলে রক্তক্ষরণের সঙ্গে সঙ্গে দম আটকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।