গেট দিয়ে ঢুকতেই পাটের ব্যাগ, তার কিছুটা সামনেই কাপড়ের দোকান। আছে জুতার দোকানও। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের মেলা।
তৃতীয়বারের মতো এসএমই মেলায় বেড়েছে দোকানের সংখ্যা। তার সঙ্গে বেড়েছে ক্রেতা সমাগমও। এমনটাই জানিয়েছেন এসএমই’র কর্মকর্তারা।
এসএমই’র মেলা কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত দুই বছর এসএমই মেলায় দোকানের সংখ্যা ছিলো একশটি করে। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৫০টি।
এসএমই মেলায় আসা ক্রেতারা শাড়ি কিনতে পাড়বেন একহাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ইলমা বুটিকস থেকে বলা হয়, সুতি, তাঁত ও সিল্কে শাড়ির কদর বেশি এবারের মেলায়।
অন্যদিকে এ বছর পাটের ব্যাগের পাশাপাশি চামড়ার ব্যাগের চাহিদাও কম নয় বলে জানান কারিগরের বিক্রেতা আলামিন। কারিগরের চামড়ার লেডিস হ্যান্ড ব্যাগ পাওয়া যাবে সাড়ে সাতশ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যেই।
এসএমই মেলায় এসেছে হরেক রঙের জুতো। এসব জুতো কিনতে খরচ পরবে ১৪০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা।
অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন ঘর সাজানোর রকমারি সব তৈজসপত্র। পাটের তৈরি সবকিছুই পাবিন ‘বিমূর্ত’ তে। বিমূর্ত’র বিক্রেতা জিসান বলেন, আমাদের সব পণ্য পাটের ও হাতের তৈরি। মেশিনের তেমন কোনো ব্যবহারই হয়নি।
বিমূর্ততে পাওয়া যাবে পাটের ল্যাম্পসেড, ছবির ফ্রেম, অ্যালবাম, নোটবুকসহ আরও অনেক জিনিস। ছবির ফ্রেমের দাম পড়বে সাড়ে চারশ’ থেকে ছয়শ’ টাকার মধ্যে। ছবির অ্যালবামের দাম পড়বে পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা। আর যদি ক্রেতারা ল্যাম্পসেড কিনতে চান তাহলে গুনতে হবে দুইশ’ টাকা থেকে আটশ’ টাকা পর্যন্ত।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত? সেজন্য আছে খাবরের দোকানও। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থী মৌসুমী অনেকটা সখেরবসেই নানা পিঠা নিয়ে এসেছেন এসএমই মেলায়। মৌসুমির পাটি সাপটা পিঠা খেতে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে মাত্র ৩০ টাকা। আর যদি খেতে চান লবঙ্গ লতিকা তাহলেও ৩০ টাকা। আরও আছে পায়েসসহ সন্দেশ।
পোশাক, জুতা, ব্যাগ ও খাবার সব নিয়ে বেশ খুশি ক্রেতারা।
মিরপুর থেকে আসা ক্রেতা নইমা আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র মেলায় নারীরা তাদের তৈরি পণ্য নিয়ে আসে। এটা দেখেই ভালো লাগে। আর এখানে অনেক কম দামে জিনিস পাওয়া যায়। অন্যরকম এক পরিবেশ। বেশ ভালো লাগে।
৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এসএমই মেলা চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ৮টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।