ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই। আসামের একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মক ভোট নেয়ার সমই ধরা পড়ে, যে বোতামই টেপা হচ্ছে ভোট পড়ছে বিজেপির পদ্ম চিহ্নে। আর এটা দেখে অবাক খোদ নির্বাচন কমিশনও। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আসামের জোড়হাটের আসামের কংগ্রেস প্রার্থী বি কে হান্ডিকের কেন্দ্রের একটি বুথে। ইভিএমে এই গ-গোল ধরা পড়তেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও ডেপুটি কমিশনার। আগামী ৭ই এপ্রিল আসামে নির্বাচন। তার আগে ’মক’ ভোট চলছিল । ইভিএম মেশিনের এই কা- দেখে চক্ষু চড়কগাছ নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য মেশিনটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তার আওতায় যে কটি ইভিএম রয়েছে, সবকটির দ্বিতীয়বার খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার কথা চাউর হতেই আসরে নেমেছে কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কংগ্রেসের দাবি শুধু জোৎহাট নয়, অসমের সব ভোটযন্ত্রই খতিয়ে দেখা হোক। ইভিএম মেশিনে এই ধরনের কারচুপির অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সারা দেশের নির্বাচিত কিছু কেন্দ্রে ইভিএমের সঙ্গে লাগানো হয়েছে ভোটার ভেরিফায়েবেল পেপার অডিট ট্রেল বা ভিভিপিএটি। নির্বাচনী দপ্তর কর্তা সূত্রে জানা গেছে, ভোটার ইভিএমে বোতাম টেপার পর ভিভিপিএটিতে একটি স্লিপ বেরোবে। সেই স্লিপে ভোটার দেখে নিতে পারবেন তার ভোট ঠিক জায়গায় পড়েছে কিনা। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সেই কাগজের স্লিপটি আপনা আপনিই কেটে নিচে একটি সিল করা বাক্সে ঢুকে যাবে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোট গণনার সময় যদি কোন বিরোধ তৈরি হয় তখন সেই স্লিপ গুনে দেখা হবে। স্লিপ গুনে যে ফল পাওয়া যাবে সেটিকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিয়ে ফল ঘোষণা করা হবে। তবে ইভিএমে ভোট দেয়ার পর স্লিপ দেখে যদি ভোটার সন্তুষ্ট না হন তবে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তখন টেস্ট ভোট দেয়ার ব্যবস্থা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই ইভিএম বাতিল করা হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু আসামের ইভিএম গ-গোল ধরা পড়ার পর এই ভিভিপিএটি সব ইভিএমে লাগানোর দাবি ওঠার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।