প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তাদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের জন্য ‘প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র’ উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের সেবা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭৩টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার বা ‘প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র’ চালু রয়েছে। এ সব কেন্দ্রের সঙ্গে একটি করে অটিজম কর্ণারও চালু করা হয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। বাংলাদেশে দিবসটি সপ্তমবারের মতো পালিত হচ্ছে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। স্বাগত বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত সমাজকল্যাণ সচিব নাসিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মিরপুরের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর হিসেবে উদ্বোধন ও জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্সের ফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্রের একটি অংশ। তাদের প্রতি অবজ্ঞা করার সময় শেষ হয়েছে। তাদের অধিকার এবং মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষেরই জন্মগতভাবে আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অটিস্টিকসহ সমাজের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও এ মর্যাদা ভোগের সমান অধিকার রাখেন। অটিজম কোন ব্যাধি নয়, এটা জন্মগত একটি অসুবিধা। তাই তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।
তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে তারাও প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। এসব শিশুদের বিশেষ চাহিদাগুলো মাথায় রেখে তাদের যতœ নেয়া সম্ভব হলে তারা দেশের অমূল্য সম্পদ হবে।
অটিস্টিক শিশুদের অনেক সময় ঘরে বন্ধ করে রাখা হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-বাবারা তাদের লুকিয়ে রাখেন। আসলে লুকানো উচিত নয়। তারাও এ সমাজের অংশ। সকলের সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং তাদের প্রতি মায়া-মমতা ও দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু জন্মগতভাবে তারা বুদ্ধি, দৃষ্টি, বাক বা অন্য যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধী, সেহেতু তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আমাদের সকলকে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইনশাল্লাহ্ আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক শিশুদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় যুক্ত করা সম্ভব হবে’।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজেরই একটা অংশ। তারা যেন অবহেলার শিকার না হয়। তাদের মেধা বিকাশের যেন সুযোগ ঘটে, সেভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে। তাদের জীবনটা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এ শিশুদের নিরাপদ ও নিশ্চিত জীবন দিতে যেমন তাদের অভিভাবকদের দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে সমাজের সচেতন নাগরিকদের। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেই দায়িত্ব পালনে আমাদের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন, ২০১৩ নামে দুটি আইন পাশ করেছি।’
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের মুল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য এর আগেরবার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৯ সালে আমরা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করি। এ ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় ৭৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু হয়েছে। এ সব কেন্দ্রের সাথে একটি করে অটিজম কর্নারও চালু করা হয়েছে। এ ফাউন্ডেশনকে ‘প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর’-এ রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রম আমরা উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবো। অত্যন্ত গর্বের বিষয় হলো আমাদের এই কর্মসূচি বর্তমানে দেশের বাইরেও অনেকে অনুসরণ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে একটি করে প্রতিবন্ধী কর্মজীবী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও অটিস্টিক স্কুল চালু করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন থেকে ইশারা ভাষার উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অটিস্টিক শিশুর মায়েদের জন্য প্রাত্যহিক লালন-পালনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রবণ, বুদ্ধি ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবাসিক সুবিধা রাখা হয়েছে। দেশের ৫৫টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের মাধ্যমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার মিরপুরে একটি মাল্টিপারপাস প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ ২৭৫ জন প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তির জন্য শেল্টার হোমের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর বাবা-মা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে তাদের অবর্তমানে এই শিশুরা তাদের সম্পদের ব্যবস্থাপনা কিভাবে করবে তা নিয়ে চিন্তা করেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা অটিস্টিক ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ এর মাধ্যমে ট্রাস্ট পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীরা তাদের অর্থ-সম্পদ নিরাপদে ব্যবহার করতে পারবে।’
তিনি বলেন, যে সব মা চিন্তা করেন যে, তিনি বেঁচে না থাকলে এ শিশুকে কে দেখবে? তাদের নিশ্চিত করার জন্য এই ট্রাস্টের মাধ্যমে আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চায়, যেন অটিস্টিক শিশুরা নিরাপদে থাকতে পারে। জাতীয় জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসতে এই ট্রাস্ট যেন আজীবন তাদের পরিচর্যা করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও এর বাইরে নয়। প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ সম্মান বয়ে আনছে। প্রতি বছরই স্পেশাল অলিম্পিকস্-এ তারা পদক অর্জন করছে। গত বছরও তারা শতাধিক পদক অর্জন করেছে। যা আমাদের সুস্থ ক্রীড়াবিদরাও পারছে না।
তিনি বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকার সাভারে একটি বহুমূখী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক শিশুদের জন্য ক্রীড়া ও শরীর চর্চার সুবিধা থাকবে। আগামীতে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা এই শিশুদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখবেন না। তাদের বাইরে নিয়ে আসুন। স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ দিন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর নিউরো-ডেভেলপমেন্ট এন্ড অটিজম ইন চিলড্রেন (সিনাক) প্রতিষ্ঠা করেছি। একই সঙ্গে দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র চালু করেছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ‘প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর’-এ রূপান্তরের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কোন সঠিক পরিসংখ্যান ছিল না। এজন্য গত অর্থ বছর থেকে সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা সনাক্তকরণ জরিপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ বছরের মধ্যে অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বিশেষ সুবিধা হিসাবে তাদের কিছু ভাতা দেবার ব্যবস্থা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের অধিকার, উন্নয়ন ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তথ্য প্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০০৯’ এ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত ‘এক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রকল্পের আওতায় ই-তথ্যকোষে একটি উইন্ডো খোলা হচ্ছে। উপজেলা ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে। প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ভাই-বোনেরা এই কর্মসূচির আওতায় ই-তথ্য সেবা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের সুষম বন্টন এবং তা সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে না দেয়া গেলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই অটিস্টিকসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলধারার বাইরে রেখে সুষম উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সবাই তাদের অধিকার ভোগ করবে। প্রতিবন্ধীরাও পাবে সমান সুযোগ, সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী সায়মা হোসেন পুতুল একজন মনোবিশেষজ্ঞ হিসাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজমসহ নিউরো-ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কার্যক্রমকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। মূলত তারই উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী শিশুদের বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনে একটি প্রস্তাব পেশ করে। এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, পুতুলের উৎসাহ ও পরামর্শে অটিস্টিক ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ব্যক্তিদের সম্পর্কে আমি নিজেও ধারণা পাই ও কাজ করতে আগ্রহী হই। বর্তমানে পুতুল ‘এ্যাওয়ারনেস টু ওয়ার্ক’ অর্থাৎ শুধুমাত্র সচেতন হয়ে বসে থাকাই যথেষ্ট নয়, এদের জন্য কাজ করতে হবে- এই মূলমন্ত্রের ভিত্তিতে অটিজম বিষয়ক কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী শিশুদের আকাঁ ছবি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের বুকে জড়িয়ে আদর করেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও উপভোগ করেন।