অর্থনীতি নিয়ে চাপে আছি: অর্থমন্ত্রী

অর্থনীতি নিয়ে চাপে আছি: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের অর্থনীতি মোটেই ভয়ঙ্কর নয়। অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে সমস্যা কিংবা চাপ আছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমি চিন্তিত। আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনছি। এ বছরের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনবো।

তিনি আরও বলেন, কোথায় অর্থনীতি দুর্বল আছে আমি জানি না। তবে চাপের মুখে আছি অস্বীকার করি না।

বৃহস্পতিবার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিল ২০১২’র জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ফজলুল) আমাকে ইচ্ছাপূর্বক উত্তেজিত করছেন।

দেশের অর্থনীতি নিয়ে এ মাসের শেষে বিস্তারিত বক্তব্য দেবেন বলেও অর্থমন্ত্রী সংসদকে অবহিত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন বিনিয়োগ হচ্ছে। যতটা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। এটাই হয়েছে আমার সমস্যা। আমরা ৪৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছি। প্রচুর ঋণ নিয়েছি। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার আগে বাজেট ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এখন তা এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের মৌল ভিত্তি, দৃঢ়তা কি প্রমাণ করে না অর্থনীতির অবস্থা।

অর্থ পাচার মামলা নিয়ে বাইরে থেকে সাক্ষী আনতে পারার বিষয়টি এ সরকারের সফলতা বলে উল্লেখ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ে যা বলা হয়, এটা ঠিক নয়। এটা নিয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট করা হয়।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উপদেশ দিয়ে বলেন, প্রতিদিন নয়, এক সপ্তাহ পর পর রিপোর্ট করুন।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, শেয়ার বাজার নিয়ে সাফ সাফ কথা বলে ফেলি। তা ভালো হয় না। তাই এটা নিয়ে আর কথা বলি না।

ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই রিপোর্ট অক্ষরে অক্ষরে প্রকাশ করেছি। যদি কেউ বলতে পারে কোনও কিছু বাদ পড়েছে আমি পদত্যাগ করবো। এসব রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত করছি। লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, কেউ বলতে পারলে আমি দেখবো। ১০ হাজার কোটি টাকা শেয়ারের দাম বেড়ে ২০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি অসংসদীয় কথা বলে ফেলি। তবে তা সংসদের বাইরে। সাংবাদিকরা আমার ২০ মিনিটের বক্তব্য কেটে আধা মিনিট উপস্থাপন করে। প্রত্যেক বক্তব্যের মূল কথা থাকে। অথচ মূল কথাকে বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা তুলে ধরা হয়।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে বলেন, আমি গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ এলাকার গ্রামে গিয়েছিলাম। তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম দ্রব্যমূল্য নিয়ে। তারা আমাকে জানান, আমি যে দামে কিনতে পারতাম তা পারি না। তবে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। ১৭ লাখ মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। তাই শেয়ার বাজার নিয়ে তাদের কোনও চিন্তা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন অনেক দক্ষ ও সবল। এক কমিশন যেভাবে সংস্কার করেছে, ৯২’র পর এতো ভালো ও দক্ষ এসইসি আর তা আসেনি।

অর্থ বাণিজ্য