থাইল্যান্ডে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন তিন ইরানি নাগরিক ইসরায়েলি কুটনীতিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলো বলে দাবি করেছে থাই পুলিশ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান জেনারেল প্রিউপান ধামাপং বলেছেন, থাইল্যান্ডে আপাত ব্যর্থ বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের হামলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিলো। তাদের পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন ব্যাংককে অবস্থানরত ইসরায়েলি কূটনীতিকরা।
গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া বিস্ফোরকের নমুনার সঙ্গে ভারত ও জর্জিয়ায় পাওয়া বিস্ফোরক এবং ডেটোনেটরের নমুনার মিল রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে, মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর আরো হামলার আশঙ্কায় থাই কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন দূতাবাস এবং পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে বোমা বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন ইরানি নাগরিকসহ পাচঁজন আহত হয়। এদিন প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে একটি বাড়িতে। বিস্ফোরণের পরপরই ওই বাড়ি থেকে আহত এক ব্যক্তি পালানোর জন্য একটি ট্যাক্সিক্যাব থামানোর চেষ্টা করলে ট্যাক্সিক্যাব চালক তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় তিনি ওই ট্যাক্সিক্যাব লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছোড়েন।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি পুলিশের ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। কিন্তু গ্রেনেডটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার ওপরই বিস্ফোরিত হলে তিনি মারাত্মকভাবে আহতাবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
আহত ইরানি নাগরিক সাইদ মোরাদি বর্তমানে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎধীন রয়েছেন।
পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরেক ইরানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া তৃতীয় ব্যক্তিকে গত বুধবার থাইল্যান্ড থেকে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া পালানোর পথে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ বর্তমানে একজন নারীকে খুঁজছে বলে জানা গেছে। ওই নারী সেই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।