লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া আরো দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মহানগর হাকিম নওরীন আকতার কাকন এ আদেশ দেন। অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ও হত্যা মামলায় জামিনে থাকা মুফতি ইজহারুল ইসলাম রোববার হাজির না হওয়ায় আদালত এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মুফতি ইজহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন,‘নগরের খুলশী থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ২৭ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার আদালতে হাজিরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। ওনার পক্ষ থেকে আমি জামিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
রোববার ৯ আসামীর মধ্যে গ্রেফতার থাকা আট আসামীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই ঘটনায় দায়ের হওয়া আরেকটি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আব্দুর রশিদের আদালত।
একই মামলায় ৬ এপ্রিল চার্জ গঠনের শুনানির সময়ও নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি ইজহারুল ইসলাম ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন।