নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে পার পেয়েছেন দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে বিজয়ী শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।
আজ রবিবার দুপুরে আফিল ও মনিরুলকে অব্যহতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে রায় ঘোষণা করেন।
ফলে তাদের সরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ৩০ ডিসেম্বর যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনিরুল ইসলামের নির্বাচনী কর্মী সভায় প্রকাশ্যে মাইকে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নীলনকশা ঘোষণা করে বিভিন্ন মিডিয়ার শিরোনাম হন যশোর-১ (শার্শা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ আফিলউদ্দিন। তিনি যশোর-২ আসনের সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার আত্মীয় অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের এক কর্মীসভায় নিজের নির্বাচনী এলাকা শার্শা উপজেলার কর্মীদের দিয়ে কীভাবে ঝিকরগাছা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ভোট নৌকার পক্ষে আনতে হবে সে সম্পর্কে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আমার একশ’জন কর্মী থাকবে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তারা বারবার ভোট দেবে।
যা পরে মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। রেকর্ড করা অডিও সিডিসহ নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাহীন-উল-কবির।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন যশোর-১ ও যশোর-২ আসনে বিজয়ী এই ২ প্রার্থীর গেজেট প্রকাশ স্থগিত রাখে। পরে বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে একটি রিট করেন। আদালত শুনানি শেষে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ইসিকে দায়িত্ব দেন।
নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাদের বক্তব্য শোনে নির্বাচন কমিশন।