আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরসহ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে জারি করা রুলের পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার সময় চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ধার্য করেন।
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আদালতে দাখিল করা জবাবের শুনানির জন্য তিন মাস সময় প্রার্থনা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল এ দিন নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে তলব করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৬ নভেম্বর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে আনীত আদালত অবমাননার জবাব দাখিল করেন তাদের আইনজীবী।
এ ছাড়া গত বছরের ১০ অক্টোবর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে তার লিখিত জবাব দাখিল করেন ও তিনি নিজে শুনানি করতে আবেদন করেন।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় বরাবর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মাহফুজ উল্লাহ, জাফর উল্লাহ, বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষসহ আটজনকে বিবাদী করে অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-এর ১১ (৪) ধারা মোতাবেক কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে তাদের অভিযুক্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা করার আবেদন করা হয়।
আবেদনে বাকি বিবাদীরা হলেন- চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী পরিচালক, হেড অব প্রোগ্রাম, ‘মুক্তবাক’ নামে অনুষ্ঠানের প্রযোজক এবং সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না।
প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাত ১১টার ‘মুক্তবাক’ নামে টকশোতে ট্রাইব্যুনালের বিচার বিষয়ে মন্তব্য করেন।
টকশোতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিচারপতি শামীম হাসনাইন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, কেন তাকে দেওয়া হয়নি। তাহলে কি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে না?’
এছাড়া টকশোতে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাফাই সাক্ষীদের নিয়ে মন্তব্য করারও অভিযোগ তোলে প্রসিকিউশন।