মুরসিবিরোধী আন্দোলনে অর্থ দিয়েছে আমেরিকা!

মুরসিবিরোধী আন্দোলনে অর্থ দিয়েছে আমেরিকা!

mursi mমিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের আমেরিকা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে বলে নতুন করে প্রকাশিত এক দলিলে জানা গেছে।
 
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দাবি করেছিলেন, মিশরে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির ঘটনায় ওয়াশিংটনের কোনো হাত ছিল না।
 
কিন্তু আলজাযিরা নিউজ চ্যানেল মার্কিন ফেডারেল সরকারের অসংখ্য দলিলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মুরসি সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপকভাবে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কর্মসূচির আওতায় ওয়াশিংটন তার অর্থভাণ্ডার খুলে দিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ওই সময় যে ইসলামি জাগরণ শুরু হয়েছিল তা ভণ্ডুল করে দিয়ে মার্কিনপন্থী সেক্যুলার ধারাগুলোকে ক্ষমতায় আনা ছিল ওই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। মার্কিন কর্মকর্তারা এ কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘গণতান্ত্রিক সহায়তা’ কর্মসূচি।
 
কিন্তু মার্কিন জনগণের ট্যাক্সের অর্থ বিদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের কাজে খরচ করা যাবে না বলে আমেরিকায় যে আইন রয়েছে মিশরের এ ঘটনায় তা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
 
২০১১ সালের গোড়ার দিকে মিশরে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে মার্কিনপন্থী হোসনি মুবারকের সেক্যুলার সরকারের পতন হয়। সেইসঙ্গে শেষ হয়ে যায় মুবারকের তিন দশকের স্বৈরশাসন।
 
এরপর ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে ইখওয়ানুল মুসলিমিন নেতা মুহাম্মাদ মুরসি মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু ইসলামপন্থী এ সরকারকে মেনে নেয়া আমেরিকার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই মুরসি ক্ষমতা নেয়ার এক বছরের মধ্যে তার সরকারের বিরুদ্ধে সেক্যুলার দলগুলোকে লেলিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। এ আন্দোলনের এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত এবং সংবিধান স্থগিত করে। সূত্র: আইআরআইবি

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর