জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ৮টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরও অতিরিক্ত আরো ৪টি কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে। নিউইয়ার্কের বিশ্বখ্যাত মেমোরিয়াল সেøায়ান-ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসকরা হুমায়ূন আহমেদের সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
লেখকের স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন বাংলানিউজকে জানান, গত ২১ জানুয়ারি হুমায়ূন আহমেদকে নির্ধারিত ৮টি কেমোথেরাপি দেওয়া শেষ হয়। লেখকের শারীরিক অবস্থা একসপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পর গত সপ্তাহে তার সিটি স্ক্যান করানো হয়। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে আরও ৪টি কেমোথেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সবমিলিয়ে লেখককে মোট ১২টি কেমোথেরাপি নিতে হচ্ছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি হুমায়ূন আহমেদকে নবম থেরাপি দেওয়া হবে।
শাওন আরো জানান, নবম কেমোথেরাপি নেওয়ার পর পর্যবেক্ষণের জন্য হুমায়ূন আহমেদকে ৪৮ ঘন্টা হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি কুইন্সের জ্যামাইকায় তার ভাড়া বাসায় ফিরতে পারবেন। এরপর ১৫ দিন অন্তর তাকে বাকি থেরাপি দেওয়া হবে। অতিরিক্ত ৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া শেষ হলে আবার হুমায়ূন আহমেদকে সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এইসব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তার চিকিৎসার পরবর্তী ধাপের বিষয়ে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিবেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সস্ত্রীক হুমায়ূন আহমেদ নিউইয়র্কে যান ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে। মেমোরিয়াল সেøায়ান-ক্যাটারিং হাসপাতালের ইন্টারন্যাশনাল অনকোলজি ডিপার্টমেন্টের ক্লিনিক্যাল পরিচালক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. ভেচ স্টিফেনের তত্বাবধানে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে হুমায়ূন আহমেদের কেমোথেরাপি শুরু হয়েছিল। ১৫ দিন পর পর মোট আট দফায় লেখককে নির্ধারি কেমোথেরাপি দেওয়া শেষ হয় ২১ জানুয়ারি। অতিরিক্ত আরো ৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু হচ্ছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। তাই রোগমুক্তি হয়ে সহসা হুমায়ূন আহমেদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই।