এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা নগদ জমা অথবা উত্তোলন করা যাবে। আর দৈনিক সর্বোচ্চ দুইবার নগদ উত্তোলন ও নগদ জমা করা যাবে। তবে অন্তর্মুখি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে উত্তোলনের এ সীমা প্রযোজ্য হবে না। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম কেবল পল্লী এলাকায় অর্থাৎ মেট্রোপলিটন, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকার বাইরে পরিচালনা করা যাবে।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে জারি করে তা সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে এসব নীতিমালা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এজেন্ট ব্যাংকিং অনুমোদনে এজেন্টের সঙ্গে চুক্তির নমুনা কপি, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্ট ব্যাংকিং সংক্রান্ত নীতিমালা জমা দিতে হবে। ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কিত অনুমোদনপত্র বিভাগ থেকে দেয়া হবে। এর আওতায় ব্যাংক তার নিজস্ব নীতিমালায় এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টদের তালিকা ও যাবতীয় দলিলপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রিনব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর ডিপার্টমেন্টে পাঠাতে হবে। ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের চলতি হিসাব থাকতে হবে। হিসাবের সর্বোচ্চ স্থিতি হবে ১০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ২৬গ ধারা অনুযায়ী ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পল্লী এলাকায় পরিচালনা করতে হবে। শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো কেবল এজেন্ট পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারবে এবং এজেন্ট পর্যায়ের গ্রাহকদের লেনদেনকৃত অর্থ বীমা আচ্ছাদনের আওতায় আনতে হবে।