বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ স্বস্তিতে ফিরেছে জানিয়ে বিদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট গন্তব্য বাংলাদেশে আবার আপনারা (বিদেশিরা) বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।
জাপান, থাইল্যান্ড ও ব্রুনাই সফরে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সব ক্ষেত্রে। এপথে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ১০ দিনের সফরে গত ১৮ মার্চ গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রথমে জাপানে যান। এরপর সেখান থেকে ব্যাংক হয়ে ব্রুনাইতে যান।
শনিবার দুপুরে তিনি থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। ঢাকায় ফিরেই গভর্নর বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, সফরকালে আমি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ বেসরকারি বিনিয়োগকারিদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলেছি, বাংলাদেশ বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য। এখানে আপনাদের বিনিয়োগে যেমন নিরাপদ, আবার সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। তাছাড়া এখানে বিনিয়োগ অন্য অনেক দেশের থেকে লাভজনক।
তিনি বলেন, বিগত দিনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা শ্লথ বলতে হবে। তাই, এবার আমি এই দিকটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
জাপানে সফরকালে ড. আতিউর দেশটির টাকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিনট পরিদর্শন করেন।
এরপর সেখান থেকে ব্রুনাইতে যান গভর্নর। সেখানে তিনি ইসলামিক ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গত এক দশকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। যত বাধাই এসেছে, সব কাটিয়ে আমরা গড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এর কারণ, আমরা সবাইকে নিয়ে প্রবৃদ্ধির পথে। আমাদের গুরুত্ব অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি। সেই পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।
মুখপাত্র আসাদুজ্জামান বলেন, গভর্নর সব আয়োজনেই যে বিষয়টি বলেছেন তাহলো, স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে গভর্নর এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অনুষ্ঠানে ‘অর্থায়নের সামাজিক গুরুত্ব’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন।