প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘পাহাড়ি-বাঙ্গালি শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান বজায় রাখার স্বার্থে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’’
বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত বিকেলে স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা আরো জানান, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে জনসংহতি সমিতির প্রায় দুই হাজার সদস্য অস্ত্রসমর্পণ করে। তাদের পুনর্বাসন করাসহ পুলিশ ও আনসারে ৬৮৫ জনকে চাকুরিতে নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই পর্যায়ক্রমে চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করার জন্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এ কমিটি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে কাজ করে চলেছে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’’
অন্যদিকে আমাদের দেশে কৃষকদের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার অনুকরণে ভারতও তা বাস্তবায়নে তাদের পার্লামেন্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের কৃষকদের কল্যাণে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’’
কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, ‘‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কৃষকদের প্রায় ৭২২ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। একই সময় পাটচাষীকে প্রায় ৩০ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। ভারতের অর্থমন্ত্রী আমাদের দেশের অনুকরণে কৃষকদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তাদের পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এতে আমাদের কৃষিবান্ধব সরকারের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করেছে। আমি মনে করি শুধু ভারত নয় দক্ষিণ এশিয়াসহ প্রতিটি কৃষিপ্রধান দেশের কৃষকদের কল্যাণে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’’