কিছু মন্ত্রী সকালে বলছেন এক কথা, বিকালে বলছেন আরেক কথা। মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। আশ করি, মন্ত্রীরা যেন একসঙ্গে হয়ে কথা বলেন। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন বছরে যে সাফল্য অর্জন করেছেন সব ম্লান হয়ে যাবে। তাই মন্ত্রীদের আরও সুসংগঠিত হতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’ আয়োজিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার ও বিরোধী দলের গণবিরোধী কর্মসূচির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীদের এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যাতে বিরোধী দল আন্দোলন করার সুযোগ পায়। ১২ মার্চ নিয়ে বিএনপির চেয়ে আমরাই বেশি আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঢাকা দখল করে লাভ নেই। আগে দখল করতে হবে ঢাকাবাসীর মন। এজন্য আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অন্যথায় প্রশাসন আমাদের সবসময় পাহারা দিতে পারবে না।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তিনিই মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। কারণ আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো অবৈধ শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আর এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। বর্তমান মিডিয়া শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে এবং জনগণ সচেতন। এক্ষেত্রে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। খালেদা জিয়া বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলে যাচ্ছেন, যার কারণে জনগণ তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আমার বিশ্বাস আছে এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাগর ও রুনির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে।’
ঠিকানা বাংলাদেশের সভানেত্রী রুবি হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশচন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু প্রমুখ।