বুধবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলানগরের পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় একটি বাসা থেকে লায়ন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৪৯) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ নম্বর ইন্দিরা রোডের এডুকেশনাল বিসিএস কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের চেয়াম্যান গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মোমিন জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব রাজাবাজারের ১/১ নম্বর পঞ্চম তলা বাসার দোতলায় নিজের কক্ষ থেকে কোচিং সেন্টারের স্টাফরা গিয়াস উদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের লোকজন খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এখানে তিনি স্থায়ীভাবে থাকতেন না। বিভিন্ন জনের সঙ্গে অফিসিয়াল আলাপ আলোচনা করতেন এই বাসায়। বাসায় অনেকগুলো ওষুধ ছড়ানো-ছিটানো রয়েছে এবং বিছানা অগোছালো ছিল। বেশ কয়েকবার বমি করেছেন এটা বুঝা যাচ্ছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
মৃতের ছোট ভাই বেলাল আহমেদ রাজু জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার গিয়াস উদ্দিনকে ফোন করলে তিনি ধমক দিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর তিনি পুনরায় ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পান। তাসলিমা আক্তার রাত ৩ টার দিকে শেরেবাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে রাজুর মোবাইল থেকে একটি ফোন আসে। এবং তাকে বলা হয় ১/১ নম্বর পূর্ব রাজা বাজারের ফ্লাটে গিয়াস উদ্দিনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে। মৃতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা। তার ৩ টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ৪ ভাই ৬ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। মৃত গিয়াস উদ্দিন লক্ষীপুর জেলার সদর থানার টুংচর গ্রামের মাওলানা গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।