নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিসিবির উপর ক্ষুব্ধ ভারত ও পাকিস্তান

নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিসিবির উপর ক্ষুব্ধ ভারত ও পাকিস্তান

pakistan and varotমাঠে কোনো বাংলাদেশির ভিনদেশের পতাকা হাতে মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিসিবির উপর ক্ষুব্ধ ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমী। বিসিবির এ ধরণের সিদ্ধান্তে দেশ দুটিতে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তী জাভেদ মিয়াঁদাদ এএফপিকে বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তে খুবই বিস্মিত হয়েছি। ক্রিকেটের মূল দিকটি হচ্ছে খেলোয়াড়ি চেতনা। এ সিদ্ধান্তে খেলোয়ারদের চেতনা নষ্ট হবে।

পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমি নিশ্চিত বিসিবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। কারণ এটি অযৌক্তিক। আইসিসি নিশ্চয়ই এর ব্যাখ্যা চাইবে। ৯০ টেস্টে খেলা ইউসুফ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রতিবার বাংলাদেশে এসে উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছেন।

আরেক সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খান পুনর্বিবেচনা করতে বলেন, এ সিদ্ধান্ত, ‘এটি খেলার চেতনাবিরোধী। যে কেউ তার প্রিয় দলকে সমর্থন করতে পারে, সেটি আপনি বন্ধ করতে পারেন না।’

পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘ডন’-এর খবরে ইমরান নামের এক পাঠক বলেন, ‘মনে হচ্ছে, দুনিয়ায় আমরাই একমাত্র জাতি নয়, যারা হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিই না। এ তালিকায় বিসিবিও রয়েছে।’ আজাহার নামে আরেক পাঠক বলেন, ‘পুরোই নির্বোধ!’ ইহতেশাম কায়ানি বলেন, ‘পতাকা নিষেধাজ্ঞায় কাজ হবে না।’

‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে’ প্রকাশিত খবরের নিচে সামি মন্তব্য করেছেন, ‘ওয়াহ! ধর্মনিরপেক্ষ সহনশীল উদার বাংলাদেশ… উদারতার ক্ষেত্রে আরেকটি জয়!’ একই পত্রিকার খবরে আওয়াইশ নিক ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘কতটা শিশুসুলভ হতে পারে বাংলাদেশ!’

বিসিবির একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, দেশে যেহেতু এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট আইন আছে, সরকারের নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য। এরই মধ্যে স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখের নিরাপত্তাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো সমর্থক ভিনদেশের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বিদেশি সমর্থকদের জন্য এরকম কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না।

খেলাধূলা