মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর এমনিতেই নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকে রাজধানী ঢাকা। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠান। ফলে একসঙ্গে তিনটি অনুষ্ঠান সফল করতে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য পুরো রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এবং আশপাশের এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা র্যাব ও সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট ছয়টি হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে ঢাকার আকাশে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এ টি এম হাবিবুর রহমান জানান, তাদের দুটি হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে নিরাপত্তার কাজে। এই দুটি হেলিকপ্টার রাজধানীর মতিঝিল থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এলাকা পাহারা দেবে। এ ছাড়া সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো থাকবে প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকায় নিয়োজিত।
গত ২২ মার্চ প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, এ দিন ছয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে প্যারেড গ্রাউন্ড এবং আশপাশের এলাকায়। সেই সঙ্গে প্যারেড গ্রাউন্ডের আশপাশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবেন। এ ছাড়া ওই এলাকার কাছাকাছি রাস্তাগুলোতে নির্দিষ্ট যানবাহনের বাইরে সব ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ বলেন, ‘২৬ মার্চ র্যাবের হেলিকপ্টার টিমগুলো ঢাকার আকাশে উড়বে। এগুলো নজর রাখবে ওপর থেকে। এর পাশাপাশি সেনা এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরাও টহল দেবে আকাশে। হেলিকপ্টারগুলো মূলত প্যারেড গ্রাউন্ডের ওপরেই টহল দেবে।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। তাছাড়া বঙ্গভবনে আলাদা অনুষ্ঠান থাকার কারণে ওই এলাকাতেও নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। মূল কথা, রাজধানীজুড়েই নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে জোরদার।
তিনি আরো বলেন, প্যারেড গ্রাউন্ডের আশপাশে ডিবি, এসবি, সিআইডি, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সদস্যদের নজরদারি আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সামগ্রিক নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত একাধিক টিমও।