আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৪৩ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ দিনটিতে আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। দীর্ঘ নয় মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। জাতি পেয়েছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরু করে। দেশের মানুষের মনোবল বাড়াতে এবং দেশকে স্বাধীন করার লক্ষে ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তী সময়ে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি) স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন। ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার নিভৃত এক আমবাগানে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার। এ আমবাগানকে পরে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় হানাদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এ মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ৩০ লাখ মানুষের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সূর্যোদয়ের সময় তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছাড়াও সব সড়ক ও সড়কদ্বীপকে জাতীয় ও রঙিন পতাকায় সজ্জিত করা হবে। সূর্যোদয়ের সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন অমর শহীদদের প্রতি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাথীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। হাসপাতাল, সরকারি শিশু সদন, এতিমখানা ও কারাগারে বন্দিদের দেওয়া হবে উন্নত খাবার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দিবসটি পালন উপলক্ষে নিয়েছে নানা কর্মসূচি। দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।