রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে ট্রাইবুন্যালের তদন্তকারী সংস্থা। একাত্তরের সময় জামায়াত ৭ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে জানায় সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির সেফ হোমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানায় সংস্থাটি। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চূড়ান্ত করেছে এ সংস্থা।
এরপর জামায়াতের বিরুদ্ধে এ প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক নথিপত্র ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দাখিল করা হবে বলে জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক (আইজিপি) আবদুল হান্নান খান।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস এ দেশের মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। আর পাক বাহিনীকে এ হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে জামায়াতে ইসলামী। একাত্তরে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আবদুল হান্নান খান বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠন আল বদর, রাজাকার ও তৎকালীন দৈনিক পত্রিকা ও দলটির মুখপাত্র সংগ্রাম পত্রিকা মানবতাবিরোধী সব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। সাংগঠনিকভাবে এর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল জামায়াত।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদনটি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর প্রসিকিউশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন।
গত বছরের ১৮ আগস্ট জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। প্রায় ৮ মাস পর বিভিন্ন নথিপত্র, স্থান পরিদর্শন করে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।