গিনিতে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু

গিনিতে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু

Ebolaপশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিতিতে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫০ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে রবিবার নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার কর্তৃপক্ষ।

এ ভাইরাস জ্বরে রক্তপাত, ডায়রিয়া ও বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

ফ্রান্সের লিয়োর গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তদের শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গিনি সরকারের মুখপাত্র ডামতাং আলবার্ট কামারা।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ৮০ জন আক্রান্তের খবর পেয়েছেন যাদের মধ্যে ৫৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্তদের অধিকাংশই সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়া সংলগ্ন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। রাজধানী কোনাক্রিতে আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ একটি দল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন বলেও জানান মুখপাত্র। এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে চিকিৎসকরা পৃথক একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছেন।

ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ৩ শিশুর প্রাণ হারানোর কথা উল্লখ করে দেশটির ইউনিসেফ প্রতিনিধি চিকিৎসক আগ আয়োয়া বলেন, ‘গিনির চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। তাই এ ধরনের প্রাদুর্ভাব মহামারীর রূপ নিতে পারে।’

সর্বশেষ ২০১২ সালে কঙ্গো ও উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল।

মানুষের শরীরে সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়। আইভোরি কোস্টের ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কাজ করার সময় ঐ বিজ্ঞানী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ইসথার স্ট্রেক। তবে আক্রান্ত বিজ্ঞানী পরে সেরে উঠেছিলেন।

জেনেভার পাঠানো চিকিৎসকরা আন্ত:সীমান্ত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের সমন্বয়ক চিকিৎসক স্ট্রেক বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজনকে ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে দেখেছি। যারা একে অপরের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আর এভাবেই ইবোলা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। তাই একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটে।’ গিনির প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানান স্ট্রেক।

ইবোলা ভাইরাসে কিভাবে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি গায়েনা কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বাদুর বা বানরের মতো প্রাণী থেকেই এই ধরনের সংক্রমণের ঘটনা ঘটে থাকে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর