প্রধানমন্ত্রীপুত্র ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, স্বাধীনতার এই মার্চ মাসে আমার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে দেশ স্বাধীনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ আমি এই মার্চ মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দিলাম। তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর এটা থেকে উত্তরবঙ্গও পিছিয়ে থাকবে না। কারণ গত পাঁচ বছরে এ অঞ্চলের মঙ্গা দূর করাসহ সব ওয়াদা পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আগামী দিনে অনেক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।’ গতকাল বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুরের সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, রংপুরে বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি করপোরেশন আওয়ামী লীগ সরকারেরই অবদান। গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কর্মকা-ে উত্তরবঙ্গের জন্য সরকারের বিশেষ নজর ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। যেখানে বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এখানকার মানুষকে আর চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে যেতে হয় না। তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এরই মধ্যে সফল হয়েছি। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এর সুবিধা পাচ্ছে গ্রামের মানুষ। উত্তরবঙ্গের মাঠজুড়ে সবুজ বোরো ধানের ক্ষেত দেখে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারের কোন ঘাটতি নেই। তা ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন করায় তা সম্ভব হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি, টিপু মুন্সী এমপি, এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান প্রমুখ। গতকাল দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছে দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম গ্রহণ শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় জনসভাস্থলে আসেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ঢাকা থেকে সরাসরি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে রংপুর সার্কিট হাউজে আসেন তিনি। যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষমাণ হাজারও নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জনসভা শেষে সন্ধ্যায় জয় তার গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে যান। সেখানে শায়িত বাবা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াসহ দাদা-দাদী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কবর জিয়ারত করেন তিনি।