এখন থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা জামানতদার ছাড়াই ঋণ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
রোববার বিকেলে বাংলাদেশে ব্যাংকে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এক সমন্বয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এস.কে সুর বলেন, আমরা গত বছরই এ তহবিলের প্রথম কিস্তির টাকা অর্থাৎ ৩০০ কোটি ছাড় করেছিলাম কিন্তু ঋণ গ্রহীতাদের হয়ে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংগুলো ব্যক্তিগত জামানত দিতে অনিহা প্রকাশ করায় ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকরীরা ঋণ পারছিলনা। ফলে এই তহবিলের অর্থ ছাড়ের পরও ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
তিনি বলেন, আমরাও মনেকরি এ তহবিলের ঋণ বিতরণের জন্য জামানতের দরকার নেই। তাই অর্থমন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জামানত রাখার বিষয়টি সিথিলের জন্য চিঠি আশা করছি খুব শিগগির এ বিষয়টির সুরহা হবে এবং বিনিয়োগকারিরা জামানত ছাড়াই স্বল্প সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে প্রতিদিন কত টাকার লেনদেন করছে প্রতিদিন তার তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু প্রতিদিন তথ্য দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এরপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনের পরিবর্তে আলোচনা সাপেক্ষে ৭ দিন অথবা ১৫ দিন করা হবে।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নির্দেশনায় ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা এরই মধ্যে আইসিবিকে দেয়া হয়। কিন্তু এই টাকা নিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়।
এসব শর্তের জন্য তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ঋণের জামানত হিসেবে সংশিল্গষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক-ব্রোকারকে করপোরেট গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে, ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিএসইসি সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করতে পারবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকার) নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।