উপজেলা নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম ও সহিংসতার তথ্য নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ২৭ ফেব্রুয়ারির উপজেলা নির্বাচনে দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতার বিষয়ে গণমাধ্যমের বাইরে কোন অনিয়মের বিষয় জানেন না খোদ সিইসি।
বিভিন্ন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আমাদের দিন। আমরা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, যেসব ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছি সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেসব তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে তা দেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সহিংসতার কারণে আমরা একটা উপজেলাসহ অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছি।
কোন কোন কেন্দ্রে মোট ভোটারের চেয়েও বেশি ভোট কাস্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, একশ’ পার্সেন্টের উপরে ভোট গ্রহণ বড় সাংঘাতিক ব্যাপার। যে সেন্টারে ভোটের হার বেশি হয়েছে তার তথ্য দিলে আমরা যাচাই করে দেখব।
টাঙ্গাইল-৮ আসনের উপনির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল-৮ আসনের আপিল শুনানি হয়েছে। এটা আইনের বিষয়। আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। পরে কি হল তা দেখার বিষয় না। তাই এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তারা এখন উচ্চ আদালতে যেতে পারে। সেইক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা আসবে তা আমরা মানতে বাধ্য।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটের হার নির্ধারণ করেছি সর্ব্বোচ্চ ৬৩ শতাংশ। পরবর্তীতে ১ মার্চ মহেশখালীর নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি একই ছিল।