ইউক্রেনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ‘বিতর্কিত পদক্ষেপ’ নিতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানী কিয়েভের ময়দানে জনতার উদ্দেশে ভাষণে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ওলেক্সন্দার টুরচেরোভ ও প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসিনিয়াক এ সতর্ক বার্তা দেন। এ সময় জনতার মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা নতুন মন্ত্রিসভাকে অযোগ্য বলেও অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ইয়াতসিনিয়াক বলছেন, নতুন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইউক্রেনের স্থিতিশীলতা আনা। নতুন মন্ত্রিসভার জন্য ভোট গ্রহণের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। আগামী ২৫ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এ মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে।
বিরোধীদের প্রধান নেতা ইয়াতসেনাক বুধবার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার সঙ্গে কিয়েভের ময়দানে উপস্থিত হন। ইয়াতসোনাক জনতার উদ্দেশে আনন্দের সঙ্গে উল্লাসধ্বনি করেন। তবে বিতর্কিত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা আসে মন্ত্রিসভা থেকে। এ সময় জনতা মন্ত্রিসভার সদস্যদের অযোগ্য বলে ধিক্কার দেন।
প্রধানমন্ত্রী ইয়াতসিনিয়াক ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাবব, পররাষ্ট্রমন্ত্র্রী আন্দ্রি ডেসচাসিয়া, অর্থমন্ত্রী ওলেক্সান্দার স্বপাক ও জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাউন্সিলের সেক্রেটারি আন্দ্রি পূরবী।
পরে বিবিসিকে ইয়াতসিনিয়াক বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলায় আমরা পূর্ববর্তী সরকার ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপ্রিয় কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা বর্তমানে দুর্যোগের তীরে দাঁড়িয়ে আছি এবং এটা রাজনৈতিক আত্মঘাতীদের সরকার। অতএব, সকলকে স্বাগতম।’
অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দার টুরচেরোভ বলেছেন, ‘নতুন সরকারকে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পাস করতে হবে। এতে সরকার সমালোচিত হবে, আবর্জনার গ্লানি হিসেবে অ্যাখ্যায়িত হবে, তারা মারও খেতে পারে। কিন্তু তাদের অবশ্যই বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হবে এবং ইউক্রেনের অস্তিত্বের জন্য কাজ করতে হবে।’ ইউক্রেন নিজের পায়ে দাঁড়ালে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেবেন বলেও জানান।
বিবিসি জানায়, নতুন সরকার অনুমান করছে পরবর্তী দু’বছরের জন্য ইউক্রেনের ৩৫ বিলিয়ন ঋণ প্রয়োজন। তবে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ঋণখেলাপির শঙ্কায় থাকা ইউক্রেনের জন্য এক বিলিয়ন পর্যন্ত ঋণ সহায়তা দিবে।