বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের চিলিতে নতুন নতুন ব্যবসা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে চিলির রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্যারোস।
বুধবার চিলির রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্যারোস ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ আহ্বান জানান।
ক্রিস্টিয়ান ব্যারোস বলেন, চিলি সরকার ‘স্টার্ট-আপ চিলি’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে উদীয়মান ও সম্ভাবনায় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে চিলিতে বিনিয়োগ করার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৭০টি দেশের ব্যবসায়িক প্রকল্প সম্বলিত ৫ হাজার ৬শ’ টি আবেদন জমা পড়েছে।
তিনি জানান, এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন জমা দেওয়া যাবে। তিনি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের এ সুযোগ গ্রহণ করে সে দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এসময় তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরোও উন্নতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান বলেন, ২০১৩ সালে চিলির সরকার বাংলাদেশি পণ্য চিলিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে, যার ফলে দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরোও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিলির অর্থমন্ত্রণালয় উন্নয়নশীল দেশসমূহের পণ্য চিলিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে শূণ্য হারে কাস্টমস ফি আরোপ করেছে। বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে উক্ত সুবিধা বলবৎ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চিলির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে আরোও বেশি হারে টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, পাদুকা এবং ঔষধ প্রভৃতি পণ্য আমদানির আহ্বান জানান ডিসিসিআইর সভাপতি।
এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওসামা তাসীর ঢাকা চেম্বার কর্তৃক গৃহীত ‘২০০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি’ প্রকল্প বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি খন্দকার শহীদুল ইসলাম, পরিচালক হায়দার আহমদ খান, এফসিএ হুমায়ুন রশীদ, মুক্তার হোসেন চৌধুরী, হোসেন এ সিকদার, আব্দুস সালাম, মো. শোয়েব চৌধুরী, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, চিলি দূতাবাসে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রডরিগো গেলারডো এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চিলির কনস্যুলার আসিফ এ চৌধুরী।