রাজশাহী নগরীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরীর রাজারহাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নগর ছাত্রদল নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর প্রতিবাদ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে রাতে রাজারহাতা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল কর্মীরা।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে। ছাত্রদল কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা হঠাৎ রাজারহাতা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তারা ৪টি অটোরিকশাা ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভার কর্মর্সূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার রাতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির জরুরী সভা শেষে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। ওই সভায় নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর লোকনাথ স্কুলের মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি ভ্যানে বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই পিকাপভ্যানে থানা নয় পুলিশ সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত নগর পুলিশের স্টেপ-১ সদস্য সিদ্ধার্থ সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।
ওই দিন রাতেই এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহী সিটি মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও জামায়তে ইসলামীর মহানগর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম, আসম মামুন শাহীন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নগর সভাপতি সারোয়ার জাহানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮দলের ৪শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।