ইউক্রেনের অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দর তুর্চিনভ বলেছেন, ইউক্রেন আবারো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হবার পথে ফিরে যেতে চায়। টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তুর্চিনভ বলেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত, তবে তাদের ইইউর বিষয়ে ইউক্রেনের পছন্দকে মেনে নিতে হবে।
গণবিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতনের পর সংসদের সাবেক স্পিকার ওলেক্সান্দর তুর্চিনভকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তুর্চিনভ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বলেই পরিচিত।
গত নভেম্বরে ইইউ-এর সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে দেয়ার পরই ইউক্রেনে বিক্ষোভের শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। যার ফলে পতন ঘটেছে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের।
ইয়ানুকোভিচ-এর সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তার নামে গতকালকেই জারি করা হয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। দেশটির এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফাবিউস বলছেন, পরবর্তীত এই পথ হতে আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তবে মস্কো মনে করছে, কিয়েভের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে পরামর্শের জন্য ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে মস্কোতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুজান রাইস রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছে যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ করতে চায় তো সেটা হবে বড় একটি ভুল।