কেন্দ্রের নির্দেশে নগর আ. লীগের বর্ধিত সভা স্থগিত

কেন্দ্রের নির্দেশে নগর আ. লীগের বর্ধিত সভা স্থগিত

কেন্দ্রের নির্দেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা স্থগিত করা হয়েছে।

এর পরিবর্তে নগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রঘোষিত ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

সভাটি আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে সদ্য মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে সংবর্ধনা দেবে নগর আওয়ামী লীগ।

এতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রধান অতিথি হিসেবে আনার চেষ্টা চলছে।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে এ সংবর্ধনা সভায় নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান সব পক্ষের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার একদলীয় নির্বাচনের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারিকে কালো দিবস পালনের কেন্দ্র থেকে নির্দেশ এসেছে। এজন্য বর্ধিত সভা স্থগিত করেছি। তবে বাবু ভাইয়ের সংবর্ধনা যাতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করতে পারি সেজন্য সবার সঙ্গে আমি ও মহিউদ্দিন ভাই যোগাযোগ করছি।’

নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর সংবর্ধনার পর পুনরায় বর্ধিত সভার সময় নির্ধারণ করা হবে বলে ইনামুল হক দানু জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে  বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

প্রথমদিকে নগর আওয়ামী লীগ তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি এ দু’শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহিউদ্দিনের পরাজয়ের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মিলে আরেকটি গ্রুপ গড়ে তোলেন। পরে ওই গ্রুপে যোগ দেন নূরুল ইসলাম বিএসসিও।

প্রায় তিন বছর ধরে কখনও মহিউদ্দিন ও বিএসসি আবার কখনও মহিউদ্দিন ও আফছারুল আমিন-এভাবে নানা শিবিরে বিভক্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম নগরীতে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

তবে সম্প্রতি সভানেত্রীর বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষ বর্ধিত সভা করে ঐক্যের আহ্বান জানান।

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও দু’পক্ষে ছিল ঐক্যের সুর।

রাজনীতি