সাকিবের শাস্তি কমছে না

সাকিবের শাস্তি কমছে না

২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মিরপুরে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুমে বসে নির্লজ্জকর অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন সাকিব আল হাসান। দেশ সেরা এই ক্রিকেটারের এমন রুঢ় আচরণে রীতিমতো হতাশ বাংলাদেশের ক্রিকেট পাগল মানুষ।অশোভন আচরণের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিব আল হাসানকে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা করে।
২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ এই আসরের আগে শারীরিক ও মানসিকভাবে রুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এশিয়া কাপের ঠিক আগে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে রীতিমতো নাস্তানাবুদ টাইগাররা। তাছাড়া দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ঘাড়ের ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নেই।
দেশ সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজাও পুরোপুরি ফিট না। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়ে ব্যাট করছেন। বাজে ফর্মের কারণে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নির্লজ্জকর ঘটনার জন্ম দিয়ে নায়ক থেকে গেল।
এশিয়া কাপের মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে টাইগাররা মানসিকভাবে দুর্বল। দেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করে সাকিব আল হাসানের শাস্তি তিন ম্যাচের জায়গায় এক ম্যাচ করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জোর দাবি রাখেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম-মাশরাফি বিন মর্তুজা ও কোচ সেন জার্গেনসেন। তাদের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে বিসিবি। এমনটি করলে পরবর্তীতে যে কোনো প্লেয়ার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাবে। সেটি মাথায় রেখেই হার্ড লাইনে বিসিবি।
সাকিব আল হাসানের শাস্তি কিছুটা মওকুফের জন্য জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বিসিবির কাছে অনুরোধ করেন। টাইগার দলপতির অনুরোধ রাখতে পারছে না বিসিবি। এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমানো প্রসঙ্গে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘সাকিবের শাস্তি প্রত্যাহার বা কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। বোর্ড নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল।’
এশিয়া কাপ উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় সাকিবের শাস্তি মওকুফ প্রসঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে শাস্তি কমানোর অনুরোধ করার কথা স্বীকার করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘বোর্ড সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে আমরা সম্মান করি। যে খেলোয়াড়ই হোক না কেন, এ রকম ঘটনা ঘটালে এমন শাস্তিই হওয়া উচিত। তবে আমাদের কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। তামিম খেলতে পারছে না, মাশরাফি ভাইও পুরোপুরি ফিট নন। আমিও চিন্তিত কিপিং করতে পারব কি না। সেদিক থেকে চিন্তা করেই সিদ্ধান্তটা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করে আমরা এমনটি করেছি। বোর্ড অনুরোধ রাখলে রাখবে, নয়তো এ নিয়ে আমাদের আর মাথা ঘামানোর কিছু নেই। বিসিবি যদি মনে করে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বদলালে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তাহলে সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হবে।’
খেলাধূলা বাংলাদেশ