সাঙ্গু থেকে গ্যাস সরবরাহ এপ্রিলেই

সাঙ্গু থেকে গ্যাস সরবরাহ এপ্রিলেই

সাগরকেন্দ্রিক দেশের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুতে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে সান্তোস। চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার গভীর সাগরে ‘সাঙ্গু-১১’ নামের এ নতুন কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বঙ্গোপসাগরের ৪ হাজার ২০০ মিটার গভীরে নতুন কূপ খনন করে এ গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে। এরপর মধ্য এপ্রিলে ‘সাঙ্গু-১১’ কূপের গ্যাস সরবরাহ করবে সান্তোস।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায় সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন সান্তোসের প্রেসিডেন্ট জন চেম্বারস।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গ্যাসের মজুদ সম্পর্কে বলা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি দৈনিক ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারব। এভাবে প্রায় ২ থেকে ৩ বছর সরবরাহ করা সম্ভব। পরে ধীরে ধীরে সরবরাহ কমে যাবে।’

সান্তোসের গ্যাস প্রাপ্তিকে চট্টগ্রামের জন্য বিরাট সুখবর উল্লেখ করে জন চেম্বারস বলেন, ‘আমরা খুব খুশি। আমাদের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস চট্টগ্রামের বাজারে সরবরাহ করতে পারব। আশাকরি, শিগগির কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে। তখন দাম নির্ধারণ করা হবে।’

বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র উপকূলে পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করলে যথেষ্ট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে জন চেম্বারস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে সাগর ও উপকূলে হাজার হাজার কূপ খনন করে গ্যাস-তেল অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১৫টি কূপ খনন করে বঙ্গোপসাগরে একটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেছে। আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গোপসাগর ও উপকূলে প্রচুর গ্যাস পাওয়া যাবে। এর জন্য দরকার ব্যাপক অনুসন্ধান।’

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সান্তোস’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা বলেন, বর্তমানে সরকারের যে নিয়মনীতি রয়েছে তাতে বিদেশি গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে না। এ নীতিমালা উদার করা দরকার।

তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা যে গ্যাস পেয়েছি তার অর্ধেক বিনা মূল্যে পাবে পেট্রোবাংলা। বাকি অর্ধেক গ্যাস আমরা তাদের অপার করব, তারা না নিলে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারব।

পর্যাপ্ত গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানে এখনই উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘গ্যাসক্ষেত্র আবি®কৃত হলে বাংলাদেশের লাভ। জ্বালানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’

উল্লেখ্য,  এর আগে ‘সাউথ সাঙ্গু ৪’ ও ‘নর্থ ইস্ট সাঙ্গু ১’ নামে দুটি কূপ খনন করলেও সান্তোষ গ্যাস না পাওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। তৃতীয়বারেই গ্যাসের দেখা পায় প্রতিষ্ঠানটি। এ তিন মহাযজ্ঞে খরচ হয়েছে সান্তোস’র খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর