বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক মেলা শুরুবৃহস্পতিবার প্লাস্টিক মেলা শুরু

বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক মেলা শুরুবৃহস্পতিবার প্লাস্টিক মেলা শুরু

১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হচ্ছে সপ্তম আন্তজার্তিক প্লাস্টিক মেলা। চার দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলাতে মোট ৩৫০টি স্টল থাকবে। অংশ নেবে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১৯২টি প্রতিষ্ঠান। মেলাতে পণ্য প্রদর্শনীর সঙ্গে থাকবে সেমিনারের আয়োজন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিপিজিএমইএ) পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। এতে সংগঠনের কার্যালয়ে মেলা আয়োজন উপলক্ষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। বিপিজিএমইএ ও তাইওয়ানের চেং চাও ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ ও মেলার আহ্বায়ক এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসময় অন্যদের মধ্যে বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, ফেরদৌস ওয়াহেদ, শাহেদুল ইসলাম হেলালসহ সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলাতে ৫২টি দেশীয় কোম্পানির ১৫০টি স্টল থাকবে। আর ১৪০টি বিদেশি কোম্পানির ২০০টি স্টল থাকবে। তারা তাদের উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্য, মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তি ও পণ্য প্রদর্শন করবে।

বিপিজিএমইএ সামিম আহমেদ বলেন, সপ্তম আন্তর্জাতিক মেলাতে চীন, ভারত, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ইতালি, সংযুক্ত আবর আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। তবে তারা কোনো প্লাস্টিক পণ্য প্রদর্শন করবে না।

এসময় সভাপতি বলেন, ‘গত বারের মেলায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। এবারের মেলায়ও সারা পাবো বলে আশা করছি। গত মেলায় ৪০ লাখ মিলিয়ন ডলারের বিক্রির আদেশ পেয়েছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। এবারের মেলাতে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি স্পষ্ট অর্ডার, অত্যাধুনিক মেশিনারিজ কেনাবেচার পাশাপাশি এককভাবে এবং যৌথভাবে বিনিয়োগ চুক্তি হবে।

এসময় জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক খাত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে একটি নেতিবাচক ধারণা আছে। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটি একটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় শিল্প। তাই একে গুরুত্ব দিতে হবে। এটিকে শিল্প হিসেবে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব যখন মন্দার কবলে পরে রপ্তানি কমে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে এবছর প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪৫ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৩০ শতাংশ। সরকারের সহায়তা পেলে এই শিল্পকে রপ্তানি আয়ের এক নম্বর উৎস করা সম্ভব। এই খাতে প্রায় ১০ লাখ লোক কর্মরত।

তিনি জানান, এখাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। বাড়ছে রপ্তানি। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। সরকার রাজস্ব পাচ্ছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। প্লাস্টিকের তৈরি প্রচ্ছন্ন রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর সরাসরি রপ্তানির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার ওপরে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকালে যে বর্জ্য তৈরি হয় তা আবার পরিশোধন করে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষ ব্যবহারের পর তা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া না থাকায় সমস্যা হয়। কিন্তু সংগ্রহ করা গেলে তা পরিশোধন করা সম্ভব। সরকার উদ্যোগ নিলে আমরা ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করতে চাই।’

প্রসঙ্গত, মেলা প্রতিদিন চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ ফি রাখা হয়নি। সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। ১৯৮৯ সালে প্রথম প্লাস্টিক মেলার আয়োজন করা হয়।

অর্থ বাণিজ্য