দুই রফিকের কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: প্রধানমন্ত্রী

দুই রফিকের কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: প্রধানমন্ত্রী

দুই রফিকের কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এক রফিক রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন, আরেক রফিক উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চার দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই  প্রবাসী রফিক ও সালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

প্রবাসী রফিকুল ইসলাম কিছুদিন আগে মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। আজকের দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানের কাছে ভাষা-আন্দোলনের তথ্য ও ছবি পাঠানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যে দেশের মানুষ মাতৃভাষা রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করেছে। আমাদের দেশের মানুষ সব সময় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে। বাঙালি জাতি কখনো মাথা নত করেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত হানে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে স্বাধীনতার চেতনা মাথায় রেখে দেশ গড়ার কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০০১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ আবার দুর্নীতিগ্রস্ত, জঙ্গিবাদ, মানি লন্ডারিংয়ের দেশে পরিণত হয়। তবে এসব থেকে বাংলাদেশ এখন বের হয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সবকিছু আমরা সমুন্নত রাখতে পারব। বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব, এই বিশ্বাস আমার আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাঙালিদের জন্য বড় একটা দায়িত্ব এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সব ভাষার চর্চা করবে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করবে। সব জাতির মাতৃভাষা সংরক্ষণ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের বিবর্তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর