মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
শুক্রবার ওবামা তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করবেন। সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র কেইটলিন হেইডেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মীয় এ নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিকে, চীন এ বৈঠক বাতিল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হু চুনইং বলেছেন, দালাই লামার সঙ্গে ওবামার সাক্ষাৎ চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এটি আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন যা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক দুর্বল করে দেবে।
সর্বশেষ ওবামা ও দালাই লামার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১১ সালে। তবে চীন সে সাক্ষাতেরও বিরোধিতা করেছিল। চীন দালাই লামাকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
তবে দালাই লামা দাবি করেন, তিনি শুধু তিব্বতের স্বায়ত্তশাসন চান, স্বাধীনতা নয়। তিব্বতীরা দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তাদের এ আন্দোলনের পক্ষে কাজ করছেন দালাই লামা।
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করে না। কিন্তু তারা শুধু চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, তিব্বত চীনের শাসনাধীন একটি অঞ্চল। তিব্বতের বাসিন্দাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অধিকার দমনে চীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তিব্বতের মানুষের জীবন যাপনের জন্য সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছরে ১১০ জন তিব্বতী তরুণ সন্ন্যাসী চীনের কঠোর শাসনের প্রতিবাদে নিজেদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। দালাই লামা ১৯৫৯ সালে চীন থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।