মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে ১৪ মার্চ পযন্ত।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলার লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উপস্থাপন, বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান পুনরুদ্ধার এবং নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন লোজক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হবে। তিনি বলেন, প্রতিভাবান কারুশিল্পী, লোকসঙ্গীত শিল্পীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের সুযোগ করে দিতেই এই মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে। মেলায় ১৮৪টি স্টল থাকবে জানিয়ে নূর বলেন, এরমধ্যে কারুশিল্প প্রদর্শনীর ২০টি, হস্তশিল্প ৪৯টি, পোশাক ৪০টি, স্টেশনারি ও কসমেটিক্স ৩৬টি, খাবার ও চটপটির ২৫টি, মিষ্টির ১২টি এবং দুটি সংরক্ষিত স্টল রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের নকশি কাঁথা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশি কাঁথা, নকশি হাতপাখা, সিলেটের শীতল পাটি, ধারমরাইয়ের তামা-কাসা ও পিতলের কারুশিল্প, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্প এই মেলায় স্থান পাচ্ছে। এছাড়া বাউল, পালা, কবি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, হাছন রাজার গান, লালন, মাইজভাল্ডারী, মুর্শিদী, আলকাপ, গায়ে হলুদের গানেরও আয়োজন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথিপাঠ, ঘুড়ি ওড়নো, বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ খেলা ছাড়াও আটটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দেশবরণ্য লোকশিল্পীরা এই উৎসবে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। মেলা ও লোকজ উৎসবে মমতাজ, বারী সিদ্দিকী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফকির আলমগীর, কিরণ চন্দ্র রায়, কাঙ্গালিনী সুফিয়াসহ দেশবরণ্য লোকশিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি সচিব রণজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ উপস্থিত ছিলেন।