আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল-গার্মেন্টস মেশিনারি প্রদর্শনী শুরু

আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল-গার্মেন্টস মেশিনারি প্রদর্শনী শুরু

১১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল এন্ড গার্মেন্টস মেশিনারি প্রদর্শনী-২০১৪ শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই প্রদর্শনী চলবে ১৫  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার দুপুরে কাওরান বাজারের বাংলাদেশ ট্রেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলামিন।

তাইওয়ানের কোম্পানি চ্যাং চাও ইন্টান্যাশনাল কো ও হংকংয়ের ইয়র্কাস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসের সহযোগিতায় যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বিটিএমএ ।
মেলার উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলামিন জানান, বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থার মধ্যে ছিল। ব্যবসা বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা চলতে থাকে। এর মধ্যে প্রাইমারি শিল্পের কাঁচামাল তথা ইয়ার্ন ও ফেব্রিকের সরবরাহ অব্যাহত  রেখেছে। ২০১৩-০১৪ অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি ও তাৎপর্য বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অসন্তোষের মধ্যেও বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০১৩ সালে এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে জানুয়ারি-জুন ২০১৩ সালে ১ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মেশিনারি ও স্পেয়ার পার্টস আমদানি হয়েছে।

অন্যদিকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৩ এ মেশিনারি আমদানির পরিমান ছিল ১ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন ২০১৩ এর তুলনায় জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৩ মেশিনারি আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। এসময়ে ৫টি নতুন স্পিনিং এবং ৬টি উয়েভিং মিল স্থাপনের জন্য মেশিনারি আমদানি করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে টেক্সটাইল থেকে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক রফতানিতে গ্লোবাল মার্কেটে আমাদের শেয়ার প্রায় ৫ শতাংশ। ম্যাঞ্জের রিপোর্টে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে টেক্সটাইল থেকে রফতানি আয় ৪০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে। যদি সরকারের সহায়ক পলিসি অব্যাহত থাকে এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে তাহলে এটা অর্জন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলামিন বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রদর্শনিটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মিনি আইটিএমই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, এই মেলা দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এবারের প্রদর্শনীতে  বিশ্বের ৩১টি দেশের ৮৫০টি কোম্পানি তাদের যন্ত্র ও পণ্য প্রদর্শন করবে।

এর মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনকারী, প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীগণ সংশ্লিষ্ট শিল্পের জন্য উন্নতমানের মেশিন, মালামাল, যন্ত্রপাতি এবং এর উৎস সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করাসহ মেলা থেকে মেশিনারি ক্রয় করতে পারবে।

তাছাড়া এই ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশের সরবরাহ চেইন সম্পর্কে জানতে পারবে।

বিশেষ করে স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডায়িং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং টেস্টিং, ওয়াশিং, অ্যামব্রয়ডারি, সেলাইসহ সংশ্লিষ্ট সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে।

২০১৩ সালের মেলায় ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেশিনারি বিক্রি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে উন্নতি হলে এই খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার আরও বাড়বে। তাতে সূতা ও বস্ত্র উৎপাদন বিপুলভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য