ডিএসইর সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের যাত্রা শুরু

ডিএসইর সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের যাত্রা শুরু

পুঁজিবাজারে তদারকি বাড়াতে ও কারসাজি  রোধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অত্যাধুনিক সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের কার্যক্রম শুরু হলো।

মঙ্গলবার দুপুর পৌঁনে ২টায় ডিএসই কার্যালয়ে সফটওয়্যারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র  চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।

উদ্বোধন পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক। স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বাড়াতেই এই সংযোজন।

তিনি বলেন, ইন্সট্যান্ট ওয়াচ মার্কেট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডিএসইর  ব্রোাকার হাউজের মালিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। একই সাথে পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই সফটওয়্যারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  বাজারের কারসাজি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব। বিএসইসিতে এই সফওয়্যারের মাধ্যমে ৪৪ ধরনের কারসাজি ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

ড. খায়রুল বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে, এখন নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পর্ষদ গঠিত হবে। আগের মতো বুক বিল্ডিং ও প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে না। করপোরেট গর্ভনেন্স গাইডলাইন তৈরি হয়েছে এবং বিএসইসি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এখন দেশের পুঁজিবাজার আরো সমৃদ্ধ। তাই দেশিয় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের পুঁজিবাজারে আরও আর্কষণীয় হবে।

ডিএসই’র সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ইনসট্যান্ট মার্কেট ওয়াচ সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সংযোজনের ফলে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ছিল। আমরা দায়িত্ব নেয়ার আগে  দৈনিক গড় লেনদেন ছিল সাড়ে তিনশ’ কোটির ঘরে। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচশ’ কোটির ঘরে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ডিএসই। এটি বিএসইসি’র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের মতোই অত্যাধুনিক। সুইডেনের ট্রাপেটস এবি নামক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সফটওয়্যারটি নেয়া হয়েছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএসইসি’র চার কমিশনার, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য