সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনি হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত কোনো মিডিয়াকর্মীকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের উপ-কমিশনার ইমাম হাসান।
গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনাকালে একথা জানান তিনি।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অন্যতম একজন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ইমাম হাসান।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ওই হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততায় তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। এরা হচ্ছেন সাগর ও রুনির পশ্চিম রাজাবাজারের বাসভবনের দুই নিরাপত্তারক্ষী ও ম্যানেজার।
মেঘের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশ
এদিকে সাগর ও রুনির একমাত্র সন্তান মেঘের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি উপ-কমিশনার জানান, এর আগে সাদা পোশাকে মেঘের নিরাপত্তা দেওয়া হলেও এখন তার নিরাপত্তায় পোশাকধারীরা কাজ করছে।
সাগরের কম্পিউটারের তথ্য যাচাই
এদিকে সোমবার রাত ১০টায় পুলিশের তদন্ত দল মাছরাঙা টেলিভিশনে সাগর সরোয়ারের ব্যবহার করা কম্পিউটারটির তথ্য সংগ্রহে যায়। সেখানে তারা কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে দেখে। পুলিশ উপ-কমিশনার জানান, কম্পিউটারে পাওয়া তথ্য উপাত্ত যাচাই করছে। কম্পিউটার জব্দ করা হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
দুই এক দিনের মধ্যে এটিএন বাংলায়ও মেহরুন রুনির ব্যবহার করা কম্পিউটারটি দেখতে তদন্ত দল সেখানে যাবে বলে জানান তিনি।
গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত ও পেশাগত বিষয়
ইমাম হাসান আরও জানান, তদন্তে অনেকগুলো বিষয়কে সন্দেহের তালিকায় রেখে দুই সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিককে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সাগর সরোয়ারের জ্বালানি বিষয়ক রিপোর্টিংয়ের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়।’
রুনির করা রিপোর্টগুলোও যাচাই করে দেখা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত ও পেশাগতভাবে এ দুই সাংবাদিক যাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলবে।
এদিকে, শেরেবাংলানগর থানার ওসি জাকির হোসেনের কাছে আটক তিনজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তবে তাদের গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।