মঞ্জু হত্যা মামলায় রায়ের তারিখ প্রত্যাহার : ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি

মঞ্জু হত্যা মামলায় রায়ের তারিখ প্রত্যাহার : ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি

মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় রায় হচ্ছে না আজ। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অধিকতর শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। আজ মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদসহ মোট পাঁচজনের বিচার চলছে। এর মধ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- ১৯৮১ সালের ৩০ মে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তার (এরশাদের) নির্দেশে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। মামলায় হাজিরা দিতে সকালেই আদালতে হাজির হন মামলার অন্যতম আসামী এইচ এম এরশাদ।

এদিকে মামলাটির বিচারক হোসনে আরা আকতার ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। তার পরিবর্তে নতুন করে মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। আজ প্রাথমিক যুক্তিতর্ক শেষে তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলাটির অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে ১৯ বছরে এ মামলায় ২২ বার বিচারক বদল হয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে তাকে পুলিশ আটক করে। এরপর ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশের কাছ থেকে মেজর কাজী এমদাদুল হক সেনা হেফাজতে নেন। পরে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৯৫ সালের ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর আগে থেকেই কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ওই বছরের ১১ জুন। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন।

 

জেলা সংবাদ বাংলাদেশ শীর্ষ খবর