এদিকে, ফেনীতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে একটি পিস্তল ও ১২টি ককটেলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে জুয়েলারি সমিতি রোববার জেলায় স্বর্ণের দোকানে ধর্মঘট ডেকেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেনী প্রেসক্লাবের পাশে খাজা আহম্মেদ রোডের মাথায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেনী প্রেসক্লাবের পাশে খাজা আহম্মেদ রোডের মাথায় শতাধিক বোমা ফাঁটিয়ে ও গুলি করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফিল্মি স্টাইলে আবেদীন জুয়েলার্সে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে তারা দোকান থেকে ৭শ’ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা।
থানা থেকে মাত্র ২শ’ গজের মধ্যেই দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলের দেড়শ’ গজের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু গুলি ও বোমা নিক্ষেপের কারণে তারা অগ্রসর হতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে ফেনীর এএসপির সার্কেল সামছুল আলম সরকার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুখোশ পরা ৪০ থেকে ৫০ জন দুর্বৃত্ত একযোগে শহরের ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন অলিগলিতে ককটেল ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে।
এ সময় আতংকিত হয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। টানা ২০ মিনিট ধরে এ অবস্থা চলার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা খাজা আহমেদ সড়কের আবেদিন জুয়েলার্সে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ব্যাপক লুটপাট করে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গুলিভর্তি একটি ম্যাগজিন ও ২টি বস্তা উদ্ধার করে।
আবেদিন জুয়েলার্স সূত্রে জানা গেছে, দোকানের কর্মচারীরা দোকানেই অবস্থান করছিলো। কিন্তু গুলি ও বোমার কারণে তারা মেঝেতে শুয়ে পড়ে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে পার্শ্ববর্তী আধুনিক জুয়েলার্সের মালিক সালাহ উদ্দিনসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ সেখান থেকে ২টি বস্তা ও ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফেনী শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার পর, এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে একটি পিস্তল ও ১২টি ককটেলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।