১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের ত্রাণ সহায়তা হিসেবে মুম্বাইয়ে ট্রেনযাত্রীদের ভাড়ার অতিরিক্ত ১৫ পয়সা সারচার্জ দিতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার দশক পর এখনো সেই সারচার্জ গুনতে হচ্ছে মুম্বাইয়ের ট্রেনযাত্রীদের।
ওই বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট। আজ শনিবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে বলা হয়, ১৯৭১ সালে রাজ্য সরকার সারচার্জ আরোপ করে। নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত এ সারচার্জ প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো যাত্রীরা সে অর্থ দিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সারচার্জ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ জমা দেয়নি।
আজ অন্য এক আদেশে মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারক এস জে বাজিফদার ও বি পি কোলাবাওয়ালা সারচার্জ বাবদ সংগৃহীত ৪৪২ কোটি রুপি কীভাবে ব্যয় হয়েছে তা একটি হলফনামার মাধ্যমে বিস্তারিত দেখাতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, যদি ট্রেন থেকে সংগৃহীত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না হয়, তবে সরকার এ অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি? এর মানে দাঁড়ায়, সরকার এ বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।
আজ মুম্বাইয়ের থানের একজন সামাজিক আন্দোলনের কর্মী বিক্রান্ত চন্দ্রদাসের দায়ের করা জনস্বার্থের (পিআইএল) মামলায় আদালত ওই সব আদেশ দেন।
বিক্রান্ত আদালতে বলেন, প্রাথমিকভাবে সারচার্জ বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে তোলা হয়। কিন্তু অনেক গণপরিবহন সংস্থা সারচার্জ বাবদ অর্থ সরকারে কোষাগারে দেয়নি। পরিবর্তে সে অর্থ পরিবহনের কর্মচারীদের বেতন কিংবা সরকারের খাদ্য ও পুষ্টি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে।